When to sell a stock? শেয়ার বিক্রি করার সঠিক সময় কখন?

কোন কোন জিনিসগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদেরকে শেয়ার কিনতে হবে এটা আমরা মোটামুটি সবাই কিছু না কিছু জানি। কিন্তু শেয়ারগুলো কখন বিক্রি করতে হবে তার সঠিক ধারণা আমাদের কাছে নেই।যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা কোন শেয়ার বিক্রি করছি ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু আমরা সেই শেয়ার থেকে মুনাফা কিছুই পায় না এটা কেবলমাত্র কাগজে-কলমে দেখতে পায়। তাই কোম্পানির শেয়ার থেকে মুনাফা অর্জন করতে গেলে আমাদেরকে প্রথমেই শিখতে হবে কখন আমাদের সেই শেয়ার বিক্রি করা উচিত।
আমাদেরকে অনেকেই শেয়ার কেনার বিভিন্ন রকম কারণের কথা বলে। কিন্তু কেউ আমাদেরকে এটা বলে না যে কখন আমরা সেই শেয়ার বিক্রি করব। আজকে আমরা জানবো আমার এই ব্লগে কখন কখন আমাদের শেয়ার বিক্রি করা উচিত নয়? এবং কখন আমরা কোন শেয়ার বিক্রি করবো?

কখন আমাদের শেয়ার বিক্রি করা উচিত নয়?

মহাভারতের ইতিহাসে আমরা অভিমন্যুর কথা শুনেছি, যিনি চক্রবিহুতে প্রবেশ করার পথ জানতেন কিন্তু কিভাবে বের হতে হবে সেটা জানতেন না। এবং এই কারণেই আমরা অভিমন্যুকে চক্রবহুর মধ্যে ফেঁসে যেতে দেখেছি। ঠিক একই রকম ভাবে শেয়ার বাজারেও আমরা শেয়ার কেনার অনেক কারণ জানি এবং আমরা সেই কারণগুলোকে ফলো করে শেয়ার কিনি কিন্তু আমরা শেয়ার কখন বিক্রি করতে হবে সেটা বুঝতে পারিনা এবং কেউ আমাদেরকে এটা বলেও দেয় না যে কখন শেয়ারগুলো বিক্রি করতে হবে। 
আমি আপনাদেরকে আজকে চারটি কারণের কথা বলবো। যে কারণে সাধারণ মানুষ শেয়ার বিক্রি করে দেয় কিন্তু এই কারণ গুলিতে কখনোই শেয়ার বিক্রি করা উচিত নয়।

ধৈর্য্য না থাকা।

 আমরা অনেক সময় একটা কোম্পানির শেয়ার কিনি এবং কিছুদিনের মধ্যে দেখা যায় যে সেই কোম্পানিটার শেয়ারের দাম ডবল হয়ে গেছে। মানে আজকে ধরুন একটা কোম্পানির শেয়ার আমি কিনলাম ১০০ টাকায় এবার একমাস বাদ দেড় মাস পর দেখা গেল সেই শেয়ার টার দাম ২০০ টাকা হয়ে গেল। তখন আমাদের মনে হয় যে আমাদের টাকাটা তো ১০০ টাকার শেয়ার ২০০ টাকা মানে ডবল হয়েই গেছে আর বাপু দরকার নাই, ১০০% রিটার্ন নিয়ে আমার এই শেয়ার বিক্রি করে দেওয়াই ভালো। এটা ভেবে আমরা সেই শেয়ার বিক্রি করে দিই। 
অনেক সময় আমরা দেখি এক, একটা শেয়ার ১০ গুন ২০ গুন করে রিটার্ন দেয়। কিন্তু আমাদের ধৈর্য যদি এরকম হয় তাহলে কি আমরা এই ১০ গুন বা কুড়ি গুন রিটার্ন নিতে পারব। আমরা তো শুধুমাত্র ১০০% রিটার্ন নিয়েই খুশি হয়ে শেয়ার বিক্রি করে ফেলি। তাহলে আমরা কি করে এই ১০ গুন বা ২০ গুন রিটার্ন আশা করতে পারি। তাই আমাদের শুধুমাত্র ১০০% রিটার্ন পেয়েছি বলে শেয়ার বিক্রি করে দিলে চলবে না। আমাদেরকে সেই কোম্পানি যদি ভালো হয় তাহলে সেই শেয়ার অবশ্যই রেখে দিতে হবে বিক্রি না করে। তাহলে আমরা সেই শেয়ার থেকে অবশ্যই ১০ গুন বা ২০ গুন রিটার্ন আশা করতে পারি।

ভালো শেয়ারগুলোকে বিক্রি করে খারাপ শেয়ারগুলো ধরে রাখা।

আমরা অনেক সময় দশটা কোম্পানির শেয়ার কিনি তার মধ্যে থেকে দেখা যায় যে পাঁচটি কোম্পানি ভালো রেজাল্ট করছে বা ভালো পরিমান রিটার্ন দিচ্ছে। এবং পাঁচটি কোম্পানি রিটার্ন দিতে পারছে না বা লসের দিকে চলে যাচ্ছে। তখন আমরা সেই ভালো কোম্পানির শেয়ারগুলোকে বিক্রি করি। মানে যে শেয়ারগুলো ভালো রিটার্ন দিচ্ছে সেইগুলোকে বিক্রি করে, যেগুলো রিটার্ন দিতে পারছে না সেই শেয়ারগুলো কিনে ফেলি, শেয়ারের দাম অ্যাভারেজ করতে গিয়ে। 
এটা খুবই খারাপ একটা সিদ্ধান্ত। কারণ কোন শেয়ারের দাম তখনই বাড়ে যখন সেই কোম্পানিটা ভালো ব্যবসা করে এবং একটা কোম্পানির শেয়ারের দাম তখনই কমে যখন সেই কোম্পানিটা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে না। তাই যে কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়বে অবশ্যই সেই কোম্পানির শেয়ার ধরে রাখতে হবে। 
এটা অনেকটা এরকম হয় যে আপনার বাড়িতে দুটি আমগাছ আছে। এবার আপনি দেখলেন একটি আম গাছে ভালো আম হচ্ছে এবং আরেকটি আমগাছে আম হচ্ছে না। আপনি ভালো আম হচ্ছে সেই গাছটিকে কেটে ফেললেন এবং যে গাছটিতে আম হচ্ছে না সেই গাছটির গোড়ায় মাটি এবং জল দিলেন।

শেয়ার বাজারে সঠিক সময় খোজা।

একটা শেয়ার ১০০ টাকায় কিনে কিছুদিন পর ১৫০ টাকা হয়ে গেল। আপনি ভাবলেন এবার শেয়ারটা বিক্রি করে দিই, যখন আবার ১২০ টাকা হয়ে যাবে তখন আবার শেয়ার টা কিনে নেব এবং আবার যখন দাম বাড়বে তখন আবার বিক্রি করে মুনাফা লাভ করব।
এরকম অনেক সময় হয় যখন দেখা যায় যে ১০০ টাকার শেয়ারটা ১৫০ টাকা গেল। এবার যখন আপনি শেয়ারটা বিক্রি করে দিলেন দেখা গেল আর সেই শেয়ারটার দাম কমলো না, বাড়তেই থাকলো এবং একসময় দেখা গেল ১০০ টাকার শেয়ারটা ১০০০ টাকা হয়ে গেল। তখন আপনি খুব আফসোস করবেন এবং ভাববেন আমি তখন যদি শেয়ারটা আমি বিক্রি না করে রেখে দিতাম তাহলে আমার টাকাটা আজকে ১০ গুন হয়ে যেত। 
তাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে এসে সঠিক সময় খুঁজবেন না। সব সময়ই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার সঠিক সময়। তবে অবশ্যই ভালো কোম্পানি খুঁজে সেই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে। 
https://youtu.be/5AAl7H49CzQ

সব সময় শেয়ারের পারফরম্যান্সের দিকে লক্ষ রাখা। 

অনেক সময় শেয়ার কেনার পর দেখা যায় যে, টানা ৮ মাস বাড়লো না শেয়ারের দাম। এটা যখন আমরা চোখের সামনে সব সময় দেখি তখন আমরা অধৈর্য হয়ে পড়ি। আমরা সেই শেয়ার অনেক সময় বিক্রি করে দিই কারণ সেই শেয়ারটা ৮ মাস ধরে একই জায়গায় পড়ে রয়েছে দাম বাড়ছে না। যখনই আমরা শেয়ারটা বিক্রি করি দেখা যায় তিন মাসের মধ্যে সেই শেয়ারটার দাম ডবল হয়ে গেছে।
দেখুন শেয়ারের দাম বাড়ার পূর্বনির্ধারিত কোন সময় নেই, যে মাসে মাসে ৫% হোক বা ১০ শতাংশ করে বাড়বে। শেয়ারের দাম যে কোন সময় বৃদ্ধি পেতে পারে আবার যেকোনো সময় থমকে যেতে পারে। তাই শেয়ারের দাম বাড়ছে না বলে শুধুমাত্র বিক্রি করে দিলে চলবে না। আপনি যদি ভালো শেয়ার বাছাই করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই শেয়ারটাকে সময় দিতে হবে। তাহলে আপনি ভবিষ্যতে সেই কোম্পানির শেয়ার থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। 

শেয়ার বিক্রি করার সঠিক সময়।

প্রথমতঃ কোন শেয়ার কেনার একটা নির্দিষ্ট কোন কারণ থাকে। হতে পারে, আপনার সেই কোম্পানির জিনিসগুলোকে ভালো লাগে অথবা আপনার মনে হতে পারে এই কোম্পানির ফিউচার অনেক ভালো আছে মানে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু করার মত ক্ষমতা আছে অথবা আপনার মনে হতে পারে এই কোম্পানির প্রোডাক্টের অনেক চাহিদা আছে বাজারে। এই সমস্ত কারণে আপনি একটি কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেন। 
এবার আপনার যদি মনে হয় যে আপনি যে কারণে এই কোম্পানিটা পছন্দ করেছিলেন সেই কারণটা শেষ হয়ে গেছে তখন এই কোম্পানির শেয়ারটা আপনি বিক্রি করে দিতে পারেন।
 মানে, মনে করুন আপনি একটা ওষুধের কোম্পানির শেয়ার কিনলেন। মানে একটা ফার্মা কোম্পানির শেয়ার কিনলেন। যে কোম্পানিটা ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করে, এরপর আপনি দেখলেন যে ক্যান্সারের ওষুধ আরও একটা কোম্পানি তৈরি করা শুরু করল এবং আপনার কোম্পানির থেকে ভালো ওষুধ সেই কোম্পানিটা তৈরি করছে। তখন আপনি চাইলে এই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারেন। কারণ আপনি যখন শেয়ারটা বাছাই করেছিলেন তার কারণই ছিল ক্যান্সারের ওষুধ। এখন যেহেতু আপনার কোম্পানির থেকে অন্য কোম্পানি ভালো ওষুধ তৈরি করছে তাই অবশ্যই আপনার কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে অন্য কোথাও বিনিয়োগ করাই ভালো। 
দ্বিতীয়তঃ আপনি যদি কোন শেয়ার সেই কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট দেখে কেনেন। মানে ম্যানেজমেন্ট এর উপর ভরসা করে কেনেন। তাহলে যদি সেই কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ভবিষ্যতে পরিবর্তন হয় তাহলে অবশ্যই আপনি সেই শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে আসতে পারেন। কারণ এখানে আপনার কেনার কারণটাই শেষ হয়ে গেছে। 
তৃতীয়তঃ আপনার যদি হঠাৎ করেই টাকার দরকার হয় তাহলে আপনি শেয়ার বিক্রি করতে পারেন। অনেক সময় আমাদের হঠাৎ করেই টাকার প্রয়োজন হতে পারে। এটা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক বা হসপিটালের ক্ষেত্রেই হোক বা মেডিকেল বা পড়াশোনার খরচ যে কোন কারনে আমাদের টাকার দরকার হতে পারে তখন আপনি চাইলে শেয়ার বিক্রি করে চাহিদা মেটাতে পারেন।
এই তিনটি কারণে আমরা চাইলে শেয়ার বিক্রি করতে পারি। এছাড়া শেয়ার বিক্রি করার কোন কারণ নেই তবে অবশ্যই যেকোনো শেয়ার কেনার আগে ভালো হবে রিসার্চ করে তারপরে কিনতে হবে| 

Leave a Comment

Kamala Harris net worth 2014 to 2024 Joe biden net worth 2014 to 2024 Donald Trump net worth 2014 to 2024 Top 8 Most Expensive FIFA World Cup Neymar net worth 2014 to 2024 : Year by year !